সংক্ষিপ্ত বিবরন : লন্ডনের একটা মনোরম হোটেল সানলাইট। এগারো তলাবিশিষ্ট এই হোটেলটাতে সিনেমা হল, সুইমিংপুল, মনোমুগ্ধকর নাচঘর, খেলাধুলার সরঞ্জাম, এমনকি ছাদে বল খেলার মাঠও রয়েছে। এই সানলাইট হোটেলের নয় তলার বিশিষ্ট এক কামরায় মিঃ আরমানবেশী দস্যু বনহুর নিজের বিশ্রামস্থল বা আস্তানা গড়ে নিয়েছে। বনহুরের কামরার মধ্যে রয়েছে ড্রেসিরুম, বাথরুম। এ ছাড়া আছে রুমের পেছনে একটা বেলকুনি। বনহুর মিঃ আরমানের ড্রেস খুলে, দাড়ি-গোঁফ খুলে সম্পূর্ণ নিজের পোশাকে এসে এই বেলকুনিতে বসে। এখানে সে গভীর মনোযোগ সহকারে চিন্তা করে কিভাবে অগ্রসর হবে। গতরাতে মিসেস জ্যাসিলিনের মৃত্যু তাকে ভীষণভাবে ভাবিয়ে তুলেছে। মিসেস জ্যাসিলিন একজন নিষ্ঠাবান নার্স ছিলেন। অন্ধ হসপিটালে তার সুনাম রয়েছে অনেক। সবাই তাকে শ্রদ্ধার চোখে দেখেন কারণ তার চরিত্র এবং চাল চলন ছিল অত্যন্ত ভদ্র। মিসেস জ্যামিলিনের সঙ্গে মাঝে মাঝে মিঃ আরমানের বেশে তার দেখা সাক্ষাৎ এবং কথাবার্তাও হয়েছে। কই কখনও তো তার মধ্যে কোনো অসৎ আচরণ বা ঐ ধরনের কোনো কিছু পরিলক্ষিত হয়নি। হলে নিশ্চয়ই সন্দেহ জাগতো। হয়তো বা কোনো রহস্যময় পরিবেশের সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।