সংক্ষিপ্ত বিবরন : "বাগানবাড়ির লিচু গাছের ডালে সুতোয় বাঁধা পুতুলের মতো দুলছেন মহুয়া পিসি। একবার ডানে একবার বাঁয়ে, একবার বাঁয়ে একবার ডানে। হেমন্তের শেষ বিকেলের মরে আসা আলোয় অদ্ভুত এই দৃশ্যটা দেখল পলাশ। কী ঘটেছে চট করে বুঝতে পারল না। বুঝতে কয়েক মুহূর্ত লাগল। তারপর আতঙ্কগ্রস্ত মানুষের বিকট এক চিৎকারে দৌড় শুরু করল পলাশ। সেই দৌড় গিয়ে থামল ঠাকুরবাড়ির উঠোনে। দম আটকে কথাই বলতে পারল না কিছুক্ষণ। দুই হাতে হাঁটুতে ভর দিয়ে হাঁপাতে হাঁপাতে ধাতস্থ হয়ে নিল। তারপর হড়বড় করে কথা বলতে শুরু করল। জড়িয়ে যাওয়ায় কিছু কথার মানেই বোঝা গেল না। তবে যতটুকু বোঝা গেল তাতেই ধুতি উঁচিয়ে বাগানবাড়ির দিকে ছুটলেন নরেশ কাকা। কয়েক মুহূর্তের মধ্যে ঠাকুরবাড়ির বাকিরাও জড়ো হলো লিচু গাছতলায়। সফেদ শাড়ির আঁচল মাটিতে লুটিয়ে উদ্বিগ্ন চেহারায় ঘরের দাওয়ায় এসে দাঁড়ালেন ঠাকুমাও।"