সংক্ষিপ্ত বিবরন : আজ বনহুরকে পেয়ে তাজ যেন আনন্দে আপ্লুত হলো। মুখ মাথা ঘষতে লাগলো সে বনহুরের শরীরের সঙ্গে। শুকতে লাগলো নাক দিয়ে বনহুরের গোটা শরীর। সম্মুখের পা দিয়ে মাটিতে আঘাত করতে লাগলো তাজ। বনহুরও তাজের মনোভাব বুঝতে পারলো- পিঠ ঘাড় নেড়ে হাত বুলিয়ে আদর করতে লাগলো। তাজ যে সম্মুখের পা মাটিতে আঘাত করে প্রভুকে পিঠে উঠার জন্য ইংগিত করছে, বুঝতে পারলো বনহুর। বনহুর যখন তাজকে আদর করছিলো তখন রহমান দাঁড়িয়েছিলো তার পাশে। অদূরে দাঁড়িয়ে বনহুরের আদেশের প্রতিক্ষা করছিলো আরও কয়েকজন অনুচর। আজ সকলের মুখমণ্ডলই আনন্দোজ্জ্বল। শুধু আস্তানা আর অনুচরগণের মনেই খুশির জোয়ার বয়ে চলেনি, সমস্ত বনভূমি যেন আনন্দে আপ্লুত হয়ে উঠেছে। বসন্ত ফিরে এলে বসুন্ধরা যেমন নতুন রূপ ধারণ করে তেমনি বনহুরের আগমনে গাছের শাখায় শাখায় দোলা জাগলো, ফুল ফুটলো, বাতাস বইলো, ডালে ডালে পাখি গান গাইলো। বনহুরের মনেও যে খুশির দোলা লাগেনি তা নয়। বহুদিন তার পর তার মনে এক অফুরন্ত আনন্দ দ্যুতি খেলে যাচ্ছিলো, কিন্তু এতো খুশির মধ্যেও বনহুর সম্পূর্ণ তৃপ্তি অনুভব করছিল না। মনিরার কঠিন বাক্যগুলো তার হৃদয়ে প্রচণ্ড আঘাত হানছিলো। যতই সে ভুলে যাবার চেষ্টা করছিলো, ততই আরও বেশি করে মনে হচ্ছিলো মনিরার মুখখানা। এদিকে নূরীকে নিয়ে আর একটা বিভ্রাট শুরু হলো। আস্তনায় পৌঁছেই ‘আমার মনি কই, মনি কই’ বলে সবাইকে ব্যতিব্যস্ত করে তুললো।