ইন্দ্রজিৎ সরকার

পতিত পুরুষ

ইন্দ্রজিৎ সরকার

বিষয় : উপন্যাস

মূল্য : প্রিমিয়াম

4/5

সংক্ষিপ্ত বিবরন : আমি ছিলাম মা-বাবার অনাকাঙ্ক্ষিত সন্তান। বাবা কিছুটা বেশি বয়সে বিয়ে করেন। মা ছিলেন তার প্রায় ২০ বছরের ছোট। তাদের দাম্পত্যের বছর ঘুরতে না ঘুরতেই আমি কালি-ঝুলিমাখা এই দুনিয়ার আলো দেখলাম। গর্ভাবস্থায় আমার অস্তিত্বকে মুছে ফেলার একটা জোর চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু কিশোরী মায়ের শরীর ওষুধের ধকলে দুর্বল হয়ে পড়ায় এবং আরও কিছু জটিলতা দেখা দেওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমি টিকে যাই। বাবা বাধ্য হয়ে বিষয়টি মেনে নিলেও দীর্ঘদিন আমাকে স্বাভাবিকভাবে নিতে পারেননি। সে সময় মায়ের সঙ্গেও তিনি সদয় আচরণ করেননি। এসব কথা আমি মায়ের কাছেই শুনেছি। ডায়েরির পাতায় এভাবেই নিজের অতীত বর্ণনা করেছে সজীব। ১১ বছর বয়সে সে জীবনে প্রথমবার সংকটের মুখে পড়ে। আরেকটি বিয়ে করে তার বাবা আলাদা থাকতে শুরু করেন। আর তাদের মা-ছেলের জীবনে শুরু হয় কষ্টের অধ্যায়। দুই বেলার খাবার জোগাতে সজীব লেখাপড়া ছেড়ে রেস্টুরেন্টে কাজ শুরু করে। বাবার নিষ্ঠুরতায় বাড়ি ছেড়ে বস্তিতে গিয়ে থাকতে হয়। সেখানে একদিন ধর্ষণের শিকার হয় তার মা। অপমান সইতে না পেরে তিনি আত্মহত্যা করেন। মায়ের এককালের প্রেমিক বাবু মামার আশ্রয়ে সে বড় হতে থাকে। মামার ছিল অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা। ঘটনাচক্রে কিশোর সজীবও সেই ব্যবসায় জড়ায় অস্ত্রসহ ধরা পড়ে কাটাতে হয় বন্দিজীবন। এমন নানা উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে শেষপর্যন্ত কোথায় গিয়ে ঠাঁই হয় তার? এই কাহিনির সমান্তরালে রয়েছে নিলয় ও অতসীর বন্ধুত্ব-প্রেমের আখ্যান। আছে শাহবাগ গণজাগরণ প্রসঙ্গ। শামীমা নামের মেয়েটির বদলে যাওয়া জীবনধারার গল্পও মিলবে এই কাহিনিপ্রবাহে। নিলয়-অতসীয় সম্পর্কের টানাপড়েনের পটভূমিতে সে কি ত্রিভুজের তৃতীয় কোন হয়ে উঠবে। কীভাবে অবসান হবে এই জটিলতার?

এ রকম আরও বই